কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যতদূর চোখ যায় সবুজের সম্রাজ্ঞী, ভুট্টার রাজত্ব মাঠের পর মাঠ।বাম্পার ফলনেরও রয়েছে সম্ভাবনা।
ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন ভুট্টা আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোরগঞ্জের হাওরে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকেও চাষিদের দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সহযোগিতা। তাই এবার কিশোরগঞ্জের হাওরের রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।
একসময় এ জেলার হাওর বেস্টিত উপজেলা ইটনা,মিঠামইন,অস্ট্রগ্রাম,নিকলি, বাজিতপুরসহ কৃষকরা শুধুমাত্র বোরো আবাদের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও সেখানে দিন দিন বেড়ে চলছে ভুট্টা চাষ। হাওরের পতিত জমি ও বোরো আবাদের অনেক জমিতেও বর্তমানে ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকরা।
এদিকে ভুট্টা গাছের পাতা গো-খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। একইসঙ্গে ফসল সংগ্রহ শেষে ভুট্টার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হাওরাঞ্চলে জ্বালানির সমস্যা সমাধানে ভুট্টা অন্যতম সহায়ক বলেও জানা যায়। ভবিষ্যতে এ আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বমতে, জেলায় এ বছর ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাওরেই চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩১০ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় ৮০০ হেক্টর থেকেও বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ভবিষ্যতে হাওরে ভুট্টা চাষ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।