ভোলার বোরহাউদ্দিনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজের জমি বিক্রয় করে ভাইয়ের জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করে বিক্রয়তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পদ্মামনসা গ্রামের সপ্ন চন্দ্র দাস ও রাজিব চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দুলাল দাসের নিজের ক্রয় করা সম্পত্তি ও বাবার ওয়ারিশ সূত্রে পাওনা সম্পত্তির উপর বাড়ি ও রাস্তা করার কাজ করেন।
স্বপন চন্দ্র দাস ও রাজীব চন্দ্র দাস বিভিন্নভাবে হয়রানি নির্যাতন প্যারা নাশের হুমকি সহ মামলার ভয় ভিত্তিক দেখিয়ে আসেছেন দুলাল চন্দ্র দাস কে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সপ্ন চন্দ্র দাস ও রাজিব চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা কোনভাবেই যোগাযোগ করেন নাই। সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা।
এদিকে দুলাল চন্দ্র দাস জানান, পিতা নগেন্দ্র চন্দ্র দাস রেখে যাওয়া ১৬ শতাংশ সম্পত্তি মৃত্যুর পরও বুঝিয়ে না দিয়ে স্বপন চন্দ্র দাস নিজে একা ভোগ দখল করে রেখেছেন।
ভোলার বোরহাউদ্দিন উপজেলার মৌজা পদ্মা মনসা তৌজি নং ৩২, জি এল নং – ৫৯, এস এম খতিয়ান নং ১০৬,৫২ নের এদিকে দুলাল দাসের ক্রয় করা ১৬ শতাংশ জমি ও দখল করার চেষ্টা করেন, জোরপূর্বক ভাবে কাঠ গাছ, আম গাছ ও সুপারি গাছ সহ বিভিন্ন গাছ কেটে নিয়ে যান পানের বর ও ভেঙ্গেচুরে খুঁচিয়ে নামিয়ে দেন তারা।
দুই ভাই সুবাস চন্দ্র দাস ও লক্ষণ চন্দ্র দাস দীর্ঘ কয়েক বছর ইন্ডিয়াতে বসবাস করেন। তাদের সম্পত্তির সহ স্বপন চন্দ্র দাস ভোগ দখল করে কাগজপত্র জালিয়াতি করে বিক্রয় করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, দুলাল চন্দ্র দাসের জায়গা বেআইনিভাবে দখল করে বিক্রয় করা ও গাছ কেটে নেওয়া এমন অভিযোগ সত্য বলে জানান স্থানীয়রা।
স্বপন চন্দ্র দাস ও রাজীব চন্দ্র দাস, ক্যামেরার আড়ালে থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের কে পাঠিয়ে এক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার জন্য বসার সিদ্ধান্ত নিলে স্বপন চন্দ্র দাস রাজীব চন্দ্র দাস মেয়ে মাংসের জন্য বসতে রাজি হননি।
এ বিষয় নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দীন ইসলাম মেম্বারের সাথে একাধিকবার মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নিজের ক্রয় করা সম্পত্তি ও বাবার ওয়ারিশ সূত্র পাওনা সম্প্রতি ফিরে পাওয়ার জন্য রবিবার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, লালমোহন সার্কেলে বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুলাল চন্দ্র দাস।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুন্দর একটি সমাধান দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা দুলাল চন্দ্র দাসের।