ভোলা

ভোলায় প্রেম করে বিয়ে করার দায়ে একাদিক অভিযোগ এনে মামলা যুবকের বিরুদ্ধে

প্রেমের শেষ কোথায় অনেকে প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে, আবার প্রেমের ঠেলায় আত্মহত্যা করে, আবার প্রেমের কারনে কলঙ্কিত হয়, অনেকে মজা বুঝে কেটে পড়ে, আবার কেউ পরকিয়ায় আসক্ত হয়। প্রেমের বিয়ের সব বাধা উপেক্ষা করে দুটি মন যদি ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে ইতিহাস তৈরি করে, এতো ভালোবাসার মাঝেও মামলার আসামী কেন হবে।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭নং টবগী ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের মুলাই পত্তন গ্রামের কালু চাচাই বাড়ির দ্বীল-মোহাম্মদ এর ছেলে মোঃ জুয়েলের সাথে একই নিউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দালাল্পুর ফকির কান্দি ছাড়া বাড়ির মোঃ নুরইসলাম এর মেয়ে ঝুমুর এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঘরে উঠে ২০১৮ সালে। এর পর থেকে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ঝুমুরের বড় বোন শামছুর নাহার জানতে পারেন, পরে তাদের সম্পর্কের বিষয়টা পরিবারের মাঝে জানা জানি হলে ঝুমুরের পরিবার সম্পর্কটি মেনে নিলেও জুয়েলের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেন নাই।

জুয়েল জানান, তাদের সম্পর্ক চলার মাঝে দুইটি বছর পর ঝুমুর ও তার পরিবার জুয়েল কে বিয়ের জন্য একাদিক চাপ দিতে থাকেন। এই দিকে জুয়েলের পড়াশুনা বাদা সৃষ্ঠি হয় অন্য দিকে তার পরিবার কে বিয়ের জন্য বলতে পারছেন না, এদিকে জুয়েল কে ঝুমুর আত্যহতার ভয় ভিত্তিক দেখিয়ে আসছেন। ঝুমুরের পরিবার ০৩-১১-২০২০ সালে তার আনুমানিক ৮টার সময় কল করে ঝুমুর আত্যহতা করবেন এমন সংবাদ জানান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। জুয়েল নিজেকে রক্ষা করতে তার পরিবারের অজান্তে ঝুমুরে পরিবারে সহযোগিতা নিয়ে ঝুমুকে নিয়ে ওই দিন রাত আনুমানিক ১০টার সময় ঝুমুরকে বিয়ে করার উদ্দ্যেশ্য বের হন।

এর পর বোরহানউদ্দিন থানায় ঝুমুরের মা মিলন বেগম বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জুয়েল ও তার বড় ভাই শামছুউদ্দিন বেশ কয় একদিন জেল খাটেন পর জামিনে বের হন। জুয়েল ঝুমুর-কে নিয়ে সংসার করতে চাইলে ঝুমুরের পরিবার ভিন্ন কৌশল নিয়ে জুয়েল কে সংসার করতে না দিয়ে জুয়েলের পরিবার কে নানান হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন। এইদিকে জুয়েলের পরিবার একাদিক বার মীমাংসার জন্য বসতে চাইলে ঝুমুরের পরিবার মীমাংসার জন্য আসেন নাই।

মামলার সূত্র বলছে ০২-১১-২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮টার সময় বাদিনী মেয়ে ঝুমুর আক্তার বাদিনীর বাড়ি হইতে একই গ্রামের তাহার খালার বাড়ির উদ্দ্যেশ বের হইলে তাকে এক নাম্বার আসামী জুয়েল তাহার পরিবারের সহযোগীতায় তাকে জোরপূর্বক ভাবে অটোদিয়ে নিয়ে জান।

মামলার অভিযোগের সূত্র ধরে ঝুমুরের পরিবারের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে তাদের সাথে একাদিক বার যোগাযোগ করতে চাইলে কোন ভাবে তারা যোগাযোগ করেন নাই। যোগাযোগ না করে তারা উলট বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দিতে থাকেন।

এইদিকে জুয়েলের পরিবার জানান, জুয়েলের সাথে তাদের মিয়ে দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন তার পর তারা কোর্ট ম্যারিজ করে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানার পর জুয়েলের পরিবার কোন ভাবে মানতে পারেন নাই। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন সমাধাণের কথা বললে নানান ভাবে হুমকি দামকি দিচ্ছেন। অন্যদিকে কোন সমাধাণ না করে তাদের অজান্তে জুয়েলের বিয়ে করা বউ অন্য যায়গা জোর পূর্বক ভাবে বিয়ে দিয়েছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button