ভোলায় মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না জেলে দের ঝালে রূপালী ইলিশ।
সারাদিন নদীতে জাল ফেলে জেলেদের ফিরতে হচ্ছে শুন্য হাতে। নদীতে মাছ না পাওয়ায় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন ভোলা জেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবার।
এদিকে, ইলিশের আমদানি কম থাকায় অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। ইলিশের প্রজনন মৌসুম ও জাটকা রক্ষায় মার্চ থেকে কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর বৈশাখের প্রথমে নদীতে নেমেছে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ার নদীর জেলেরা।
এখন ইলিশের মৌসুম হলেও মেঘনায় ও তেতুলিয়া জেলেদের জালে মিলছে না রূপালী ইলিশ। দীর্ঘদিন পর নদীতে মাছ না পেয়ে হতাশ ভোলার কয়েক হাজার জেলে পরিবার। জেলেরা জানালেন, একটি নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন নদীতে সারাদিন জাল টেনে ফিরছেন প্রায় শুন্য হাতে। এতে খরচের টাকার মাছও পান না তারা।
আড়ৎ ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে রুপালি ইলিশের স্বপ্ন নিয়ে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর বুকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস্তবতার কাছে হেরে জাল নৌকা ফেলে বাড়ি ঘর ছেড়েছেন অনেক জেলে। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এদিকে পরিবার স্বজনরা দিনদিন হাঁপিয়ে উঠেছেন কিভাবে ছেলে মেয়ে সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকবেন ডাল-ভাত খেয়ে।
ভরা মৌসুমে মাছ না থাকায় ভোলায় মাছ ঘাটগুলোতে নেই হাঁকডাক। প্রতিদিন যেসব আড়ৎধে লাখ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হতো, সেগুলোতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার মাছের ঘাটে নেই ইলিশের রপ্তানি। বড় ধরনের লোসকানের হার গুনতে হবে বলে জানান আড়ৎধাররা।
মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে নাব্যতা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রথমে ইলিশের দেখা মিলছেনা বলে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম। তবে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে চলতি মাসের শেষে পচুর পরিমাণ ঝাকে ঝাকে ইলিশ মাছের দেখা মিলবে ঝালে হাসি ফুটবে জেলাদের মুখে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.