ভোলা

সোনাপুর দীর্ঘ ২১ বছর পর নির্বাচন ভোট দেওয়া না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ভোটারদের

ভোলার তজুমদ্দিন সোনাপুর ইউনিয়নে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন, বহিরাগতদের আতংকে ভোটাররা।

দীর্ঘ ২১বছর পর সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। মেম্বার প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের মাঝে বইছে ভোটের আমেজ।

এদিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের আনাগোনা মহড়ায় আতংকে রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীরা।

এদিকে প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বহিরাগত চিহ্নিত জলদস্যু এনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। যারা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন তারাই সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ উঠেছে অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

সাধারণ ভোটাররা জানান, দীর্ঘ কয় এক বছর ধরে ইউপি নির্বাচনের কোনো ভোট দিতে পারেননি। অন্যদিকে তরুণ ভোটাররা জানান ভোটার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দেখেননি তারা।

অন্যদিকে বৃদ্ধ ভোটাররা জানান, শেষবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদের ভোট দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

সীমানা বিরোধের মামলার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর নির্বাচন বন্ধ থাকার পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। তবে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রার্থী মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদার এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

৯টি ওয়ার্ডে অর্ধশত প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও বহিরাগত লোকজন এনে আতংক সৃষ্টি করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে মেম্বার প্রার্থীদের মাঝে। চরের ৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা বেশী আশংকায় রয়েছে। তজুমদ্দিন থেকে বিচ্ছিন্ন চর জহুর উদ্দিন এর এক অংশ সোনাপুর ইউনিয়ন। ২০ হাজার ৯৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সোনাপুর ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ১৭ হাজার ১শ’ত ৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৫০ ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৫৬ জন।

২০০১ সালে নির্বাচনের পর সীমানা বিরোধ মামলা জনিত কারনে দীর্ঘ ২১ বছর ভোট হয়নি সোনাপুর ইউনিয়নে। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ মারা যান চেয়ারম্যান হাফেজ হাসান মাসুদ বাবুল। এরপর থেকে একজন প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে চলতে থাকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদেই নির্বাচন চলছে।

নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে সব ধরনের সংকট নিরসনসহ ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেদের সব সময় নিয়োজিত রাখার আশ্বাস দিয়ে চলছেন মেম্বার প্রার্থীরা।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলছেন ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন তারা। সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রয়োগ করার জন্য সকল সুযোগ-সুবিধার সহযোগিতা কাজ করবেন। 

এদিকে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান, উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো: আমির খসরু গাজী ও অফিসার ইন-চার্জ জিয়াউল হক।

জেলা প্রশাসক, জানান নির্বাচন সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে বলে শতভাগ নিশ্চিত করে বলেন নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরদিনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। এদিকে বহিরাগত লোকের আনাগোনা সুনির্দিষ্ট সংবাদ এর মাধ্যমে চিহ্নিত করতে পারলে তদন্ত করে সততা নিশ্চিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker