বিএনপি

বর্তমান সরকার সমস্ত প্রশাসনকে কৌশলে পকেটে রেখেছে: আহমেদ আযম খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক আহমেদ আযম খান বলেছেন, স্বৈরাশাসক এরশাদের পতনের জন্য ৯ বছর লেগেছিলো। এ সরকার তার চেয়েও অনেক বেশি কর্তৃত্ববাদি অনেক বেশি স্বৈরাশাসক। আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় ১৪ বছর যাবত আন্দোলন করছি। বেশি সময় লাগার কারণ হচ্ছে এ সরকার সমস্ত প্রশাসনকে কৌশলে পকেটে রেখেছে।সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে রান্না করা খাদ্য বিতরণ উদ্বোধনকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে বিচার ও শাসন বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের অনুকূলে। চুড়ান্ত আন্দোলনের হুইসেল বেজে গেছে। চেয়ে দেখুন এ সরকার তাসের ঘরের মতো কিভাবে ভেঙে পড়বে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই সরকারের পতন হবে। তখন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে বিএনপিসহ সকল আন্দোলনকারী দল নির্বাচনে অংশ নিবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে কথা বলি সে কথাও মিডিয়ায় আসতে পারে না। আপনারাও ভয় পান। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ১২ টি আইন করে মিডিয়ার গলা টিপে ধরে রাখা হয়েছে। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানের সরকারের রাজত্ব বেড়ে গেছে। তাদের নেতৃত্বে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এ সরকারের চিত্রই হচ্ছে লুট পাট এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। বিএনপি এ দেশকে ভালবাসার রাজনীতি করে। এ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে।

পদ্মা সেতুকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। সরকার বলে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সেতু নির্মাণে বাজেট ছিলো ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মুল বাজেট কেউ জানে না, ৩০ হাজার, ৪০ হাজার নাকি এক লাখ কোটি টাকা। সেই চিত্র ভয়াবহ, সেই চিত্র লুটপাটের।

যারা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়া হবে এবং যারা বলেন, নোভেল বিজয়ী ড: ইউনুসকে পদ্মায় চুবিয়ে তোলা উচিত। ওই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। যারা জনগনকে ভয় পায় এবং যারা বাংলাদেশকে ভালবাসবে তারাই ক্ষমতায় থাকবে।

যারা বলেন বিএনপিকে ভোট দিলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে কথা শুনে আমরা হাসি। প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমান ঠিক করবে। কারণ তারাই বাংলাদেশ ও আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা কি আপনারা আওয়ামী লীগ ঠিক করে দিবেন। এই মুহুর্তে ক্ষমতা ছাড়–ন। তা না হয় ভয়াবহ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করুন।

জনগনকে ভয় পান বলেই ১৫৪ আসনে নির্বাচন করেন না। ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় আসুন জনগনের কাছে ভোট ভিক্ষা চান এবং অতীতের কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চান। জনগন যদি ক্ষমা করে তাহলেই ক্ষমতায় আসতে পারবেন। জনগন বিএনপি ভোট দেয়ার জন্য বসে আছে।
এর আগে সকালে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ করা হয। এরপর আহমেদ আযম খান নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রান্না করা খাদ্য বিতরণে অংশ নেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহম্মেদ টিটো, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ ইকবাল, কাজী শফিকুর রহমান লিটন, দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, অমল ব্যানার্জী প্রমুখ।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker