রাজনীতি

রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ‘নৌকা ডুবি’ উপন্যাসের জন্য কারাগারে যেতে হতো : নুর

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেছেন, এই সরকারের সময়ে যদি কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকতেন তাহলে তাঁকে বিদ্রোহী কবিতা, গান লেখার জন্য কারাগারে যেতে হতো। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ‘নৌকা ডুবি’ উপন্যাসের জন্য কারাগারে যেতে হতো।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে এক সংকক্ষিপ্ত সমাবেশে নুর এসব কথা বলেন। এর আগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে শুরু হয়ে পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ‘শিকল ভাঙার গান’ শিরোনামে দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর গানের মিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুলহক নুর বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল, উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র-সরকার কারো কথা শুনছে না। তারা বিরোধী দল বিহীন কম্বোডিয়া মার্কা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিরোধী দলসমূহের নেতাকর্মীদের বাসা, বাড়িতে মামলা-হামলা দিয়ে রাজনীতির মাঠ শূন্য করে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাচ্ছে। শুধু বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, জনগণকে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে।

এই আন্দোলনে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

নুর আরো বলেন, ব্রিটিশ আমলে,পাকিস্তান আমলে, বঙ্গবন্ধুর সময়ে ৭৪-এ, এমনকি ৯০-এ এরশাদের সময়েও প্রতিবাদী গান, কবিতা লেখা হতো। আর আজকে কবি, শিল্প, সাহিত্যিকরা গোলামির দাসত্ব বরণ করছে, দালালি করছে।

এ সরকারের হাতে ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মী কেইউ নিরাপদ নয়। কাজেই সকলকে রাজপথে নামতে হবে। শুধু ঘরে বসে লাইক, কমেন্ট করলে আর ইউরোপ, আমেরিকার দিকে চেয়ে থাকলে পরিবর্তন হবে না।

দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলাম শিকল ভাঙার গান লিখেছেন, আর এখনকার কবি-সাহিত্যিকরা তেল মেরে নৌকায় উঠতে ব্যস্ত। আগে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব হতো।

কিন্তু এখন কবি, নায়ক গায়করা প্রতিবাদ করে না। সবাই তেল মেরে সুবিধা পেতে মরিয়া। আজকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক দেশে বিরোধী দল ছাড়াও নির্বাচন হয়। তার মানে কি? আওয়ামী লীগ যে বিরোধী দল ছাড়া একতরফা নির্বাচন করছে, সেটি নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছে। ১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করার জন্য রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা  করেছিল। তার ফল এবার তিনি পেয়েছেন। যারা ফ্যাসিবাদের দালালি করবে, তাদের পরিণতি এমনই হবে।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ‘আমরা কবি নজরুল উত্তরসূরি। আমরা নজরুলে গানে বলীয়ান। যুবরা সব অনিয়ম ও দুঃশাসন ভেঙ্গে এ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। যারা এ দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ধ্বংস করেছে তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে। সব তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে রাজপথে নামার এখনই সময়।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুুর রহমান। এ সময় গণ, যুব, ছাত্র ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker