মার্চে বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিবিআইয়ের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এ সফরকে বানচাল করতে ফেব্রুয়ারিতে বৈঠক করে হেফাজতে ইসলাম। ছক সাজিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ নেতা, যার নেতৃত্বে ছিলেন মামুনুল হক। পিবিআই বলছে, জিহাদের কথা বলে উদ্বুদ্ধ করা হয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের, টাকা আসে মাদ্রাসা থেকে।
স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীতা করে সেদিন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলছে, অন্তত এক মাস আগে নাশকতার পরিকল্পনা করে সংগঠনের নেতারা। বৈঠক হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রসায়। যাতে উপস্থিত ছিলেন জুনায়েদ বাবু নগরী, মামুনুল হকসহ ১৫ হেফাজত নেতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তির জানান দেয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
পিবিআই এসব তথ্য দিচ্ছে, গ্রেপ্তার জিয়াউর রহমান ফারুকী ও রেজোয়ান আরমানের জবানবন্দি নিয়ে। তাতে প্রমাণ মিলেছে, হাটহাজারী থানায় হামলা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়া এবং তাণ্ডব চালানো সবই পূর্বপরিকল্পিত।
হেফাজতের এ তাণ্ডবের প্রমাণ রয়েছে র্যাবের কাছেও। তাদের হেফাজতে থাকা নেতারা, শিক্ষার্থীদের উস্কানির স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের ২২টি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। অভিযুক্ত সব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.