জাতীয়

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘জয় বাংলা’ লিখলেও বিএনপি স্লোগান মুখে আনে না :কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় ‘জয় বাংলা’ উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না, বরং দেশের স্বাধীনতাকে ভুলুণ্ঠিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

রোববার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনিএসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস-সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো- ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। এই স্লোগন বিএনপি দেয় না।

তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মন্দাকে দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফল-মূল সহ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস ও চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের উস্কে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি খাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানা কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র-প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকরা পূরণ করতে পারে না। ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।

Image

কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষি কাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ।

প্রকাশ, এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র শতকরা চার ভাগ সুদে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১৫০০ কৃষকের মাঝে এক লাখ টাকা করে কৃষিঋণ বিতরণ করে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker