জাতীয়

ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল করবে মেট্রোরেল

পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের সমন্বিত ট্রায়াল। আর অক্টোবরের শুরুতেই হবে যাত্রীবিহীন কিন্তু নিয়মিত চলাচল। ডিসেম্বরে দশটি ট্রেন দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা। প্রথম পর্যায়ে ১০ মিনিট পর পর চলবে একটি করে ট্রেন।

শিগগিরই বৈদ্যুতিক ট্রেনের জগতে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্নযাত্রার নির্ভুল সূচনার লক্ষ্যে প্রতিদিনই উত্তরা থেকে চলাচল করছে মেট্রোরেল। যাকে বলা হচ্ছে পারফর্মেন্স পরীক্ষা। আপাতত এটাই এই প্রকল্পের অন্যতম কর্মযজ্ঞ। এই কাজে নিজস্ব প্রশিক্ষিত অপারেটরদের সঙ্গে থাকছেন একজন করে দক্ষ বিদেশি অপারেটর।

এমআরটি লাইন ৬-এর সার্বিক অগ্রগতি ৮১.৭০ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে কাজের অগ্রগতি ৯৩.৮৬ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৮১.৮৬ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩.৩৪ শতাংশ।

সোমবার সকালে মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সেপ্টেম্বরে শুরু হবে সমন্বিত ট্রায়াল বা পারফরমেন্স টেস্ট।

তিনি বলেন, এই টেস্ট সর্বোচ্চ তিন মাস লাগতে পারে। তবে তার আগেও শেষ হতে পারে। আমরা সিম্যুলেটর সংগ্রহ করেছি। সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। যারা ট্রেন অপারেটর তাদের সিম্যুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে ১ অক্টোবর।

তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরে চালুর লক্ষ্যে দুটি বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। একটি ইন্টিগ্রেশন টেস্ট, আরেকটি ড্রাইভিং অন সিম্যুলেটর। এরপর আমরা যাত্রীবিহীন চলাচল পরীক্ষা করবো। এটি ১৫-২০ দিন করবো। তারপর প্রত্যাশিত যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করতে পারবো।

প্রকল্প প্রধান এম এ এন ছিদ্দীক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এমআরটি লাইন চালু করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পূর্ত কাজের পর আমাদের কাজ অপারেশনের দিকে।

তিনি জানান, একটি ট্রেন আসার পর বিভিন্ন ধাপে যে টেস্টগুলো আছে সেগুলো করে থাকি। ট্রেন আসতেই থাকবে এবং টেস্টগুলো অনবরত চলতে থাকবে। আগারগাঁও পর্যন্ত আমাদের যতগুলো ফাংশনাল টেস্ট করার কথা ছিল সব শেষ হয়েছে। পারফরমেন্স টেস্ট প্রায় শেষ।

শুরুতে ১০টি ট্রেন নিয়ে মেট্রোরেল চালু করা হবে উল্লেখ করে এম এ এন ছিদ্দীক জানান, প্রথম দিন ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চালু করবো। দ্বিতীয় দিন হয়তো আমরা সাত মিনিটে নামিয়ে আনবো। ক্রমান্বয়ে যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতক্ষণ পর পর ট্রেন ছাড়বো। অনেক বেশি যাত্রী অপেক্ষমান থাকলে আমরা সাড়ে ৩ মিনিট পরপর ট্রেন ছাড়বো। ফজরের নামাজের সময় থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন বর্ধিত করার কাজ হাতে নিয়েছি। আমাদের সেখানে ইউটিলিটি সার্ভে চলছে। সেটি শেষ হলেই পূর্ত (স্ট্রাকচারাল) কাজের জন্য যাদের নিয়োগ করার কথা, তাদের নিয়োগ করবো।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker