বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এনজিওগ্রাম করার পর তার হার্টের প্রধান ধমনীতে ৯৯ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে রিং পরানো হয়ে।
তবে, শারীরিক জটিলতা থাকায় বাকি দুই ব্লকে রিং স্থাপন করা যায়নি। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড আবারও দ্রুত সময়ের মধ্যে বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকেই এর দায় নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছন বিএনপির মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে গুলশানের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।
শনিবার সকাল থেকে তাঁর সব রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড। বেলা ১২টার পর পরীক্ষার ফল নিয়ে বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড।
এ সময় মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার, মুমিনুজ্জামানসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন।
এনজিওগ্রামে তার হৃদপিন্ডে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে তার হৃদপিন্ডের প্রধান রক্তনালীতে ৯৯ শতাংশ ব্লক থাকায় তাৎক্ষণিকভাবেই রিং পরানো হয়।
তবে শারীরিক জটিলতা থাকায় বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানো হয়নি। তবে আপাতত হার্টের যে সমস্যা সেটা থেকে খালেদা জিয়া সাময়িকভাবে মুক্তি পেলেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। পরে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির নেত্রীর কার্যালয় মেডিক্যাল বোর্ডের কথা জানান তিনি।
বোর্ডের সুপারিশ তুলে ধরে তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। নয়তো সরকারকেই দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। পরে তাঁর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন।
বেলা একটার দিকে খালেদার এনজিওগ্রাম শেষ হয়। হার্টের সমস্যার চিকিৎসা শেষে আপাতত খালেদা জিয়া রিলিফ পেয়েছেন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। এরপরও অনুমতি দেয়া হয়নি।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া আবার অসুস্থ হওয়ার পর প্রমাণিত হলো যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে।
খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান। অন্যথায় এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
বিএনপি নেত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এ সময় বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপি নেতারা।