বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্য বন্ধু হিসেবে থাকতে পেরে আনন্দিত। ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন গতকাল শুক্রবার এক বার্তায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীকে তিনি ‘ব্রিট বাংলা বন্ধনের’ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেও উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার আগে, ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে তাঁর ঐতিহাসিক সফরে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে একটি নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সফর অন্য কমনওয়েলথ দেশগুলোকে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে, যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে একটি উদীয়মান বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের মানবিক সহযোগিতার ইতিহাসের কথাও তুলে ধরেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য যুক্তরাজ্যে জনসমর্থনের প্রতিফলন আমাদের সরকারের সহযোগিতা। এ সবই যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ “বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ” থেকে ‘বিশ্বের দ্রুততম বিকাশমান অর্থনীতি’ হয়ে ওঠার অগ্রযাত্রা এবং সেই যাত্রায় যুক্তরাজ্যের অবদান নিয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। স্বাধীনতার প্রথম অর্ধশতকে বাংলাদেশ যে পরিচয় অর্জন করেছে তার জন্য বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.