জাতীয়

সকালের ফ্লাইটে দেখা যায়নি ডা: মুরাদকে

নানা আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান কোথায় আছেন তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

এদিকে, একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন ডা: মুরাদ। তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন। তিনি দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে- এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা: মুরাদ হাসান আসেননি। এর আগে দুবাই থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে এমিরেটসের ফ্লাইটযোগে রওনা হয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছান মুরাদ। তাঁর কানাডায় প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন কানাডা সরকারের কাছে অনলাইনে আবেদন করেছিল। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, কানাডায় মুরাদকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা, সমালোচনা, প্রতিবাদ বা কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নয়।

কভিড পরিস্থিতির কারণে ভিসা থাকলেও বিদেশিদের কানাডা ভ্রমণ কেন জরুরি তা আগে থেকে জানাতে হয়। জরুরি কারণ হিসেবে কানাডায় অবস্থানরত পরিবারের কাছে ফেরা, চাকরি, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া, অনুমোদিত ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট’ (পিআর), কভিড ছাড়া অন্য জরুরি চিকিত্সা, মৃত্যুশয্যায় থাকা পরিবারের সদস্য দেখতে যাওয়া বা শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্ভবত ওই জরুরি কারণগুলোর একটিও মুরাদ হাসানের জন্য প্রযোজ্য নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিসা থাকার পরও জরুরি কারণে কানাডায় যেতে হলে অনলাইনে কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র নিতে হয়। মুরাদ হাসান সেটি করেননি। আর এ কারণেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য আছেন। কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, মুরাদ হাসানের কানাডা সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য তারা সরকারিভাবে পায়নি।মুরাদ হাসানের কূটনৈতিক পাসপোর্টে কানাডার দীর্ঘমেয়াদি ‘মাল্টিপল এন্ট্রি’ ভিসা আছে।

২০১৯ সালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি এটি পেয়েছিলেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker