রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগামীকাল শনিবার ও পরশু রোববার দেশে তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোকপালন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন।
লন্ডনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
কয়েক মাস আগেই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে আরোহণ করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রানি। তার হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছিল।
রানির উত্তরসূরি হিসেবে সিংহাসনে আসছেন বড় ছেলে যুবরাজ চার্লস।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যখন ক্ষয়িষ্ণু, সমাজ যখন বদলাচ্ছে, তখন রাজদণ্ড হাতে নিয়ে রাজপরিবারের আসন অটুট রেখেছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ, হয়েছিলেন সবার শ্রদ্ধার পাত্র।
আরও পড়ুন: রানির চলে যাওয়ায় বিশ্ব নেতাদের শোক
রাজা ষষ্ঠ জর্জের মেয়ে হিসেবে ১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে অভিষিক্ত হওয়া এলিজাবেথের শাসনকালই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দীর্ঘতম।
তার মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে গোটা যুক্তরাজ্যে। শোক জানিয়েছে কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোসহ অন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতারাও।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
একসময় ব্রিটিশ শাসনে থাকা বাংলাদেশের মাটিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পা পড়েছে দুইবার।
প্রথমবার তিনি ঢাকায় আসেন ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ঢাকা তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের রজতজয়ন্তীতে কয়েকটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ।
স্বাধীন বাংলাদেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের নভেম্বরে। সেবার তিনি ঢাকা থেকে ট্রেনে করে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন।
চার দিনের ওই সফরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ঢাকায় সেইভ দ্য চিলড্রেনের কার্যালয়ও পরিদর্শন করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
তার সিংহাসনে আরোহণের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ১৯৭৭ সালে কয়েকটি স্মারক ডাক টিকিটও প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ সরকার।