জাতিসংঘের কূটনীতিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইতিপূর্বে গৃহীত প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচনা করা হয় দেশটিকে। প্রস্তাবে ২৪ জুন কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
জাতিসংঘে দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র বিষয়ক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী লানা জাকি নুসিবেহ বলেন, “নারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সারা বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।”
তিনি বলেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পৃষ্ঠপোষকতায় অংশগ্রহণকারী প্রধান দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে পেরে গর্বিত। যা কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। পররাষ্ট্রনীতিতে নারীদেরকে উৎসাহিত করা, নারী কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নারীদের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত করা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত সাহায্য করবে।
তিনি আরো বলেন: “আজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রকের প্রায় 43% শ্রমশক্তিতে নারীরা রয়েছেন। যখন আমরা কূটনৈতিক ক্যাডার গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থায়ী মিশনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যে সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা করার সময়।”
তিনি বলেন, “উপরের সবকিছু সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে এখনও আরও কাজ করা বাকি আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি দল কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এবং জাতিসংঘের পুরো ব্যবস্থায় নারীদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে। কারণ আমরা শান্তি অর্জন করতে সক্ষম হব না যতক্ষণ না আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতিটি সদস্যকে অর্থপূর্ণ উপায়ে জড়িত এবং যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হবে।”