স্পেস এক্সের কর্ণধার ও মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক নতুন সোশ্যাল মিডিয়া চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে রীতিমতো টেক্কা দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইলন। রোববার টুইট করে বিষয়টি খোলাসা করেছেন। যদিও এর দুইদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার কড়া সমালোচনা করেন।
টেসলার অধিকর্তা ইলন বলেন, তার নতুন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের বাকস্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমি বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।
টুইটারে শুক্রবার একটি পোলে অংশ নেন ইলন। টুইটার বাকস্বাধীনতার নীতি মেনে চলে কি না, এই বিষয়ে ‘না’ বলেই মত দিয়েছিলেন তিনি। তিনি টুইট করেন ‘এই ভোটের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক হয়ে ভোট দিন।’
এরপরই রোববার ইলন মাস্কের এমন ঘোষণা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। টুইটার থেকে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে বাক স্বাধীনতা খর্ব করার। মনে করা হচ্ছে, ইলন মাস্ক যদি শেষ পর্যন্ত ওই প্ল্যাটফর্মটি আনেন, সেখানে হয়তো ইউজারদের বেশি বাক স্বাধীনতা দেওয়ার দিকেই জোর দেওয়া হবে সেখানে।
সাম্প্রতিক অতীতে মূলধারার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে চ্যালেঞ্জে ফেলার চেষ্টা করতে গিয়েছে বহু প্ল্যাটফর্মকেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ কিংবা গেটর, পার্লার অথবা ভিডিও সাইট রাম্বল যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন দেখার বিষয়, ইলন মাস্ক যদি সত্যিই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসেন, তাহলে তা জাকারবার্গকে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন ইলন মাস্ক। তিনি আমাজনের প্রাক্তন সিইও জেফ বেজোসকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। ২০২৪ সালের মধ্যেই মাস্ক হতে পারেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। অর্থাৎ তার সম্পদ হতে পারে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
Given that Twitter serves as the de facto public town square, failing to adhere to free speech principles fundamentally undermines democracy.
What should be done? https://t.co/aPS9ycji37— Elon Musk (@elonmusk) March 26, 2022