মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্র হাওয়া। এই সিনেমা নিয়ে মুক্তির আগেই তৈরি হয়েছিল ব্যাপক উন্মাদনা। কিন্তু কিছু অভিযোগ উঠে আসছে এই সিনেমাকে কেন্দ্র করে। বিশেষ করে সিনেমাটি কত বছর বয়সের দর্শক দেখতে পারবে সেটা উল্লেখ না থাকায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের হলে নিয়ে যাচ্ছেন।
পরে তারা বিব্রত হচ্ছেন। বাচ্চারাও অস্বস্তিতে পড়ছে। ভায়োলেন্স দৃশ্য থাকায় অনেক আতঙ্কিতবোধ করছে বলেও জানা গেছে।
তবে এর নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের দাবি গালি অন্য জিনিস, তার সিনেমায় কোনো গালি নেই।
এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশু সাহিত্যিক আহমেদ রিয়াজ সন্তানদের সিনেমা হলে গিয়ে বিব্রত হয়েছেন। এমনটা জানিয়ে ফেসবুকে বিষদ লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘সিনেমা শেষ করার পর ভয়ানক এক অপরাধবোধ কাজ করল। টাকার বিনিময়ে আমি আমার সন্তানদের গালিগালাজ শেখাতে নিয়ে গেলাম না তো! পুরো সিনেমাজুড়ে গালিগালাজ আর খুনোখুনি!’
আহমেদ রিয়াজ বলেন, ‘গালাগালি আর খুনোখুনিকে পুঁজি করে নির্মিত সিনেমাকে যারা বাংলা সিনেমার হাওয়া বদলের দিনগুণছেন তাঁরা যথার্থই বলেছেন। তবে বদলে যাওয়া হাওয়াটা মোটেই সুবাতাস নয়। দুর্গন্ধময়। খুনোখুনি আর গালিগালাজ দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আমার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাই। ’
রম্য পোর্টাল ইয়ার্কির সম্পাদক সিমু নাসের চলচ্চিত্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘’হাওয়া’ সিনেমাটির প্রচার প্রচারণায়, পোস্টারে, ট্রেইলারে এটি কত উর্ধ্ব বয়সীদের জন্য উপযোগী তার কোনো সতর্কবার্তা নেই বা থাকলেও সেটা এমনভাবে আছে যা এখনও পর্যন্ত আমার বা কারও চোখে পড়েনি। এ নিয়ম কি উঠে গেলো বাংলাদেশ থেকে?’’
বয়স উল্লেখ না থাকায় শিশুদের নিয়ে কী ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন এমন ঘটনার উল্লেখ করে সিমু নাসের বলেন, ‘কোনো ধরনের সর্তকবার্তা না থাকায় আমার অন্তত ৪ জন বন্ধু বাচ্চাদের নিয়ে সিনেমাটি দেখতে গিয়ে অত্যন্ত বিপদে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে দুটি বাচ্চা সিনেমায় প্রদর্শিত তাদের অনুপযোগী ভায়োলেন্স দৃশ্য ও ফাউল ল্যাঙ্গুয়েজের কারণে ট্রমাটাইজড হয়ে হলের ভেতরই কাঁদতে শুরু করেছে এবং হল থেকে বের হয়ে এসেছে। বাকিদের মনের অবস্থাও বুঝতেই পারছেন। ’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মেজবাউর রহমান সুমন শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দেশে রেটিং পদ্ধতি নেই। এটা নিয়ে কাজ চলছে। আর গালির কথা বলছেন, আমার চলচ্চিত্রে গালি নেই। এটা একটা অঞ্চলের ভাষা। ওই অঞ্চলের মানুষ এভাবেই কথা বলে। সে ভাষা যেভাবে এসেছে আমরা তাই দেখিয়েছি। গালি বা স্ল্যাং অন্য জিনিস। হাওয়া সিনেমায় কোনো গালি নেই। ’
রেটিং না থাকায় শিশুরা অস্বস্তি পড়ছে বা আতঙ্কিত বোধ করছে। হাওয়া কর্তৃপক্ষের পোস্টারে বিষয়টি জানানো দরকার ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা বলেন, ‘এরচেয়েও কম বয়সীরা সিনেমা দেখছে। ’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.