বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক আবিষ্কার ও মোবাইল ফোনের সহজলভ্য ব্যবহারে বর্তমানে কোনো কদর নেই রেডিও’র।অথচ এই রেডিও ছিল আশ্চর্য ও নিত্যসঙ্গী, একটা সময় যদি কোন গ্রামে একটা রেডিও থাকতো এটার সম্প্রচার শুনতে ভিড় করতো বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরেও রেডিও’র দেখা তেমন মিলে নাই। কিছু কিছু ঘরে রেডিও থাকলেও তা আজ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে নিজ যত্নে সাজিয়ে রেখেছে শোকেজের উপর।
এই গণমাধ্যমের আবিষ্কারের সঙ্গে অনেক বিজ্ঞানীর নাম জড়িয়ে থাকলেও রেডিওর আবিষ্কর্তা হিসেবে ইতালীয় বিজ্ঞানী গুয়েলমো মার্কনির নামই সবার আগে নেওয়া হয়। কারণ, বিংশ শতকে তিনিই প্রথম দূরের সংযোগকে বেতার তরঙ্গে জুড়েছিলেন।
জানা যায়- একটা সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে দেয়া হতো এটি। প্রাচীনকালে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়ো-বৃদ্ধদের কাছে রেডিও বেশ জনপ্রিয় ছিল। তরুণ-তরুণীরা বেশির ভাগ সময় নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, গানের ডালি, দূর্বার, সুখি সংসার, দর্পণ, বাংলা ছায়াছবির গান, ম্যাগাজিন ও নাটক শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। কিন্তু আধুনিক যুগে মোবাইল, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের কারণে রেডিও এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। বর্তমানে মোবাইলের কারণে রেডিওর জনপ্রিয়তা সম্পূর্ণ হারিয়ে গেছে। এখন আর আগের মত কেউ রেডিও শোনে না।
দিন দিন হারিয়ে যাওয়া রেডিও আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু স্মৃতি হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে বইয়ে পেলেও বাস্তবে রেডিওর দেখতে হলে যাওয়া লাগতে পারে বিভিন্ন জাদুঘরে এমন ধারণা করছেন অনেকে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.