ন্যায় বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবো। ঘটনার বিবরণ বলতে গিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে ধর্ষন চেষ্টার শিকার গৃহবধূ শ্যামলী বেগম(৩৮) জানান, ন্যায় বিচার পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা।
শুক্রবার (১০জুন) সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ধর্ষন চেষ্টার শিকার গৃহবধূ শ্যামলী বেগম এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার(৯ জুন) রাতে এ ঘটনায় বিচার দাবি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
গৃহবধূ শ্যামলী বেগম উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী এলাকার আবুল হোসেনের স্ত্রী।
অভিযোগে প্রকাশ, প্রতিবন্ধী সন্তানসহ বাড়িতে প্রতিদিনের মত গত ৬জুন রাতে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ শ্যামলী বেগম। রাতে প্রকৃতির ডাকা সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হন গৃহবধূ। এ সময় পুর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলে একরামুল হক(৪৮) তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অনেক চেষ্টার পর গৃহবধূ চেষ্টা করে মুখ খুলে চিৎকার দিলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে একরামুল হক গলা চেপে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা করে। তার আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে লম্পট একরামুল পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাঁশ বাগান থেকে গৃহবধূ শ্যামলীকে উদ্ধার করে রাতেই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ শ্যামলী বেগম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একরামুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শ্যামলী বেগমের স্বামী আবুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় কাকজের সন্ধানে বাহিরে যাই আমি। প্রায় আমার স্ত্রী একরামুলের বিষয় বলে। এরপর একরামুল আরো আমাদের ভয়ভিতি দেখানো শুরু করেন। তাই আমি এই লম্পটের বিচার চাই।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম রসুল অভিযোগ প্রাপ্তির কথা শিকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.