সাক্ষী দেয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান লিখন নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ফেসবুক লাইভে এসে লাঠিপেটা করেছে ওই এলাকার কয়েকজন বকাটে যুবক। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান লিখন বলেন, কয়েকদিন আগে কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলা করে শিক্ষার্থীদের মারধর করে সিফাত ও জয়সহ কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু।
ওই বৈঠকে কয়েকজন বন্ধু হামলাকারীদের নাম বলি। বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর কথা আছে, বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সিফাত ও জয় আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং সিফাতের ফেসবুক আইডি থেকে মাহবুবুর নামে এক যুবক সেই দৃশ্য লাইভ করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন লাইভটি দেখে ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। আমাকে সিফাতের বাবা হোসায়নুর রহমান হিরু ও জয়ের বাবা দুলুর পরিকল্পনায় মারধর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। দশম শ্রেণির ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এলাকাবাসী।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, ভিডিওটি আমি দেখেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.