লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে কালবৈশাখি ঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ছয়টি গ্রামের উপর দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে গেছে। এতে দুই শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে। বাতাসে উড়ে গেছে অনেক ঘরের চাল ও বেড়া। উপড়ে গেছে গাছপালা আর জমির ভুট্টা গাছ। অনেকের বাড়ির হাঁস-মুরগির বাচ্চা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কালবৈশাখি ঝড়ে ঘর-বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন ক্সতিগ্রস্থ মানুষজন।

অপরদিকে একই সময় পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ধান, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার দিনমজুর রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লাইলী বেগম (৪২) বলেন, তাদের দুটি টিনের ঘর রয়েছে এবং দুটি ঘরই কালবৈশাখি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি চার সন্তানকে নিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ঘর মেরামতের জন্য তাদের কোন আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানান।

একই গ্রামের কদবানু বেওয়া (৬২) বলেন, তার একটি টিনের ঘর রয়েছে কিন্তু কালবৈশাখি ঝড়ে তার ঘরের চাল ও বেড়া উড়ে গেছে। ঘর মেরামতের জন্য তার আর্থিক সঙ্গতি নেই বলে তিনি জানান।

ওই গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬০) বলেন তার তিনটি টিনের ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার বাড়িতে ছোট খামারে ১০০০টি মুরগির ছানা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণঅ ধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, পাটগ্রাম উপজেলার কিছু স্থানে শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের পরিমান নির্ধারন করতে কৃষি বিভাগ মাঠে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদা মাসুম বলেন কালবৈশাখি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ির পরিমান নির্ধান করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker