“সুপারি চুরির অভিযোগ শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন” শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নির্যাতনের শিকার শিশু চয়ন চন্দ্রকে(১২) হাসপাতালে দেখতে গেলেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা পিপিএম, বিপিএম।
বরিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা শিশুটিকে দেখতে যান তিনি। এসময় শিশুকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। তার পরপরই এজাহার নামীয় একজনকে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, এসপি মহোদয় হাসপাতালে শিশুটিকে দেখে আসার পর পরই অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় শ্রী দিলীপ (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হসপাতালে শিশু চয়নকে দেখতে গিয়ে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, এতো ছোট শিশুকে এভাবে নির্যাতন কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা পুলিশ প্রশাসন শিশু নির্যাতনের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নওর্যাতনকারীরা শিশুটির শরীরের অনেক জায়গায় আঘাত করেছে, এতে শিশুটি ভয় পেয়েছে।বর্তমানে সে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশু নির্যাতনের এমন ঘটনা আর না ঘটুক এমন প্রত্যাশা আমাদের।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, পুলিশ সুপার ( এ সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলমসহ জেলা পুলিশের অন্যানয় কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ হিরামানিক এলাকায় সুপারি চুরি করার অপরাধে চয়ন চন্দ্র (১২) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। নির্যাতনের ওই ভিডিও মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ওই এলাকার প্রিয় নাথ রায় ও তার পুত্র রবিন চন্দ্র রায় শিশু চয়ন চন্দ্রকে সুপারি চুরির অভিযোগে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন। এরপর বাঁধন খুলে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে রবিন ও তার বাবা প্রিয়নাথ পা দিয়ে পিসতে থাকেন। এক পর্যায়ে চয়ন চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। চয়ন চন্দ্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.