জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলোচিত সেই জমজ ৪ কন্যা শিশুর দরিদ্র পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়ে ইরাক থেকে পরিচালিত (ডিএক্সএন) DXN কোম্পানি লিমিটেড।
গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ঈদ সামগ্রীর বিভিন্ন পণ্য এবং নগদ অর্থ নিয়ে সেই জমজ শিশুদের পরিবারের সাথে দেখা করেন এই কোম্পানির সদস্যবৃন্দরা।
জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর-সরিষাবাড়ী গ্রামে অভাব অনটনের সংসারে কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম এক সাথে জন্মদেন জমজ ৪টি কন্যা সন্তান। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকেই গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ সেই জমজ শিশুদের দেখতে ভির জমান প্রতিনিয়তই। কিন্তু এত আনন্দে মধ্যে সেই শিশু সন্তানদের লালন পালন করতে হিমশিম খাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবু। চার মেয়ের দুধ কেনার টাকা, পরিবারের অন্যান্য খরচ জোগাতে না পেরে কষ্টের মাঝে দিন পার করছেন তারা। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সহযোগীতা চান সেই পরিবার। সেই সংবাদের ভিত্তিতে মানবিক সহযোগীতা নিয়ে সেই পরিবারের পাশে এসে দাড়ান এই কোম্পানির সদস্যবৃন্দরা। এসময় সামগ্রী হিসেবে ছিলো- চাল, ডাল, মাছ-মাংস, সেমাই, চিনি, দুধ, নতুন কাপড় চোপড় ইত্যাদি সহ নগদ ৫ হাজার টাকা।
এসব উপহার সামগ্রী পেয়ে জমজ কন্যা সন্তানের পিতা আতাউর রহমান বাবু বলেন, ‘অভাবে মধ্যে দিন চলছে তার। ইতিমধ্যে একটি কন্যা সন্তান চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে। DXN কোম্পানির সদস্যরা আমাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ, ঈদটা ভালো কাটবো।
ইরাক থেকে আমিনুল ইসলাম রাজু সার্বিক সহযোগীতায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, DXN কোম্পানির সদস্য তারিকুল ইসলাম, রাজন মিয়া, আলমগীর হোসেন, স্বপন মিয়া, বাবলু সরকার, সজিব ইসলাম, সাদিক তরফদার প্রমুখ।
জমজ ৪ কন্যা সন্তানের পিতা আতাউর রহমান বাবু বলেন, ‘অভাবে মধ্যে দিন চলছে তার। ইতিমধ্যে একটি কন্যা সন্তান চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে। DXN কোম্পানির সদস্যরা আমাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
DXN কোম্পানির সদস্য রুবেল মিয়া সাংবদিকদের জানান, ইরাক দেশ থেকে DXN নামে এই কোম্পানি পরিচালিত হয়। ইরাক প্রবাসী আমিনুর ইসলাম রাজু এই কোম্পানির প্রধান উদ্যোক্তা। তার সার্বিক সহযোগীতায় এই কোম্পানির মাধ্যমে আমরা এই দরিদ্র পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছি।
