জামালপুর সদর উপজোলার মেস্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ী এলাকায় এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদ দেউলিয়ারাড়ী এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। নিহত তাহমিনা জান্নাত মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস আগে আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের সাথে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাহমিনা জান্নাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাহমিনার গর্ভে সন্তান আসে। কিন্তু উজ্জ্বল ও তার পরিবারের লোকজন সে সন্তান নষ্ট করতে বলে।
ঘটনার দিন আজ বুধবার ভোর রাতে তাহমিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন চেষ্টা চালায়। এতে তাহমিনা বাধা দিলে তাকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় পরিবারের লোকজন। পরে তাহমিনার অবস্থার গুরুত্বর খারাপ হলে উজ্জ্বল ও তার পরিবারের লোকজন সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহমিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল গেট থেকেই তাহমিনার শাশুরীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।