মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের বিভিন্ন রোডের চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন রোডে প্রায়শই চলন্ত বাস-ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায় এখানে নিত্য দিনের ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় হাতি দিয়ে টাকা তোলার ঘটনা চোখে পড়ে।
টাকা দেওয়ার কবল থেকে মুক্ত নয় রাস্তার পাশের দোকানিরাও। হাতিকে টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সামনে দিয়ে। এটা এক প্রকার নিরব চাঁদাবাজী বলেও উল্লেখ করেন পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার নতুন বাজার, সিদলার মোড়, পাগলা বাজার, পিতলগঞ্জ, গড়বিসুদিয়া এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে করতে হাজিপুর অভিমুখে যাচ্ছে দুই যুবক।
উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করছেন তারা। টাকা দেওয়া ছাড়া কোনোভাবেই তার বাঁধা অতিক্রম করতে পারছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুত গতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। টাকা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর মৌখিক অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী অটোচালক রাজিব জানান, আমরা ব্যস্ত সড়কে বিপদজনক হাতি দেখতে চাইনা। বনের প্রাণী বনে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গড়বিশুদিয়া গ্রামের অটোচালক সুজন বলেন, হাতিকে টাকা না দিয়ে দ্রুত সামনে চলে যেতে চেয়েছিলাম। হাতির ভয়ে যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে আমার অটোটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল।
তবে হাতির পরিচালক এটাকে চাঁদাবাজি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতিকে লালন-পালন করতে মানুষের কাছ থেকে ৫-১০ টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। কেউ না দিলে তার ব্যাপারে কোনো জোরাজুরি নেই
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.