কিশোরগঞ্জ

“সিদলা যুব সংসদ”এগিয়ে চলেছে দূর্বার

স্বেচ্ছাশ্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে আগে নেতিবাচক ধারণা থাকলেও দেশব্যাপী এসব সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রমও বাড়ছে।

এই কার্যক্রমের দিক থেকে পিছিয়ে নেই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের তরুণরা। সিদলা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবকদের সম্মিলিত মনোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার “সিদলা যুব সংসদ” সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, আর্তমানবতার সেবায়, চারিত্রিক উন্নয়ন, নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।

জানা যায়,সিদলা যুব সংসদ একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক সেচ্ছাসেবী সংগঠন, এখানে যুক্ত আছে ইউনিয়নের ছাত্র,শিক্ষক,চিকিৎসক, শ্রমিক,চালক,ব্যবসায়ী,কবি,সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি,চাকুরীজীবি, প্রবাসীসহ মোট কথা সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সাবলীলভাবে ফুটে উঠেছে সংগঠনটি।দক্ষ যৌথ নেতৃত্বে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে।

আমরা চাই সমাজকে নতুন কিছু উপহার দিতে। আমাদের দেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের তরুণরা স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসছে। তরুণরাই পারে সমাজকে বদলে দিতে।বদলে যাবো বদলে দেব যেতে হবে অনেকদূর।এমন সংকল্পই প্রকাশ করেন “সিদলা যুব সংসদ ” এর সদস্যরা।

সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করেই চলছে”সিদলা যুব সংসদ “সংগঠনে অংশ নেওয়া একজন সংগঠকের নীতিগত বহুবিধ দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

সংগঠকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলোঃ
১) সমন্বয় সাধনঃ একজন সংগঠককে সব সময় একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতে হয়। একা কোনো ব্যক্তি কোনো সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সংগঠককে সব সময় সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

২) পরিকল্পনাঃ সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।

৩) ব্যবস্থাপনা দক্ষতাঃ একজন সংগঠককে একজন ভালো ব্যবস্থাপক হতে হবে। ব্যবস্থাপনায় যে যত ভালো তিনিই তত ভাল সংগঠক।

৪) নিয়ন্ত্রন দক্ষতাঃ যে কোন কাজেই নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। সঠিক নিয়ন্ত্রন ছাড়া কোন উদ্যোগে সফল করা যায় না। তাই একজন সংগঠকের নিয়ন্ত্রন দক্ষতা থাকতে হবে।

৫) সৃজনশীলঃ যে কোন সামাজিক সংগঠনের সৃষ্টিই হয় সমাজকে আরো ভালো করে তৈরী করার জন্য। তাই সংগঠকদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

৬) প্রচুর পড়াশুনা করতে হবেঃ পড়াশুনার অভ্যাস মানুষকে বিকশিত করে, সৃজনশীল করে, গতানুগতিক হতে সাহায্য করে এজন্য একজন সংগঠককে ভালো বই পড়তে হবে। খ্যাতিমান মানুষের জীবনী পড়তে হবে।

৭) নেতৃত্বের গুনঃ একটি সংগঠন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতা: যেমন হাসিখুশী ভাব, কথা বলার দক্ষতা, কর্মমুখরতা, সাহসিকতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা, মহৎ স্বপ্ন, গনতান্ত্রিক মনোভাব, মাথাঠান্ডা রাখা, দূরদর্শীতা, সমস্যায় পড়লে সমস্যা সমাধানের অবিনায়ক হওয়া বিরতিহীন ভাবে কাজ করা ইত্যাদি। পরিশেষে বলা যায় একটি সামাজিক সংগঠনকে সফল করতে হলে নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, ধৈর্য্য, স্বেচ্ছাসেবী মানসিকতা, সহযোগিতা পরায়ন, দলগত সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধাশীল মনোভাব, সর্বোপরি নৈতিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। সংগঠন হলো এক সুতোয় এক এক করে এক একটা ফুল দিয়ে গাঁথা মালার মতো।

সিদলা যুব সংসদের সাথে যুক্ত থাকা জহিরুল ইসলাম রবিন জানান, সিদলা যুব সংসদ এর অনুপ্রেরণার বাতিঘর শক্তি সাহস তরুনরা,তরুণদের নিয়ে আমাদের পথচলা চলা….. তরুণদের পদচারণা আলোকিত আমাদের সংগঠন আলোকবর্তিকা ছড়াবে ইনশাআল্লাহ …..

পল্লী চিকিৎসক ফারুক আহমেদ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো, স্কুলগামী নয় এমন শিশুদের স্কুলগামী করবো তার স্বপ্ন দেখি। খবরের কাগজ খুললেই দেখি, অনেক শিশু ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।সংজ্ঞাহীন মানবেতর জীবন যাবন করছে মানুষ ইত্যাদি এসব নিরসনের জন্য মানুষকে সচেতন করার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস সমাজের তরুণরা এগিয়ে আসলে এসব বন্ধ করা সম্ভব হবে। এভাবেই একদিন সফলতা আসবে এবং গড়ে উঠবে সুন্দর আগামী।’এগিয়ে যাবে নিরন্তর “সিদলা যুব সংসদ “।

“সিদলা যুব সংসদ”সংগঠনটির পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগাচ্ছে মানবিক কর্মকান্ড প্রসারিত করার লক্ষ্যে দ্বায়িত্ববান এবং সুশিল সমাজকামী মানুষজন,তাদের মধ্যে একজন উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রৌশনারা রুনু তিনি বলেন,নিজেক খুঁজে পাওয়া সর্বোত্তম উপায় হলো অন্যের সেবায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা।

“সিদলা যুব সংসদ “এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সফলতা কামনা করেন সকল শ্রেনী পেশার মানুষজন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker