কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক মণ ধানের দাম দিয়েও পরিশোধ হচ্ছে না একজন শ্রমিকের পারিশ্রমিক। এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানকাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক কৃষকের নাগালের বাইরে। ফলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
এবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় এক সাথে ধান কাটা শুরু হওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে ধান কাটার কাজে আসা শ্রমিকদের প্রতি জনকে ১০০০ টাকায় নিতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯শ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮হাজার তিনশ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অধিক নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার দ্বীপেশ্বর গ্রামের কামরুল, চরকাটি হারী গ্রামের রুক্কূন, হেলালসহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, এলাকায় শ্রমিক সংকট এবং দূর থেকে কোনো শ্রমিক না আসায় এলাকার শ্রমিকদের ১০০০ টাকা করে মজুরি দিতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি তিন একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। ধান কাটতে তিনি ছয় জন শ্রমিক আনেন। প্রতিদিনে তাদের প্রতি জনের মজুরি হিসেবে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এসব শ্রমিকের মাথাপিছু থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৩শ টাকা।
উপজেলার কুড়িঘাটে শ্রমিকের হাটে বাকচান্দা থেকে ধান কাটতে আসা হামিদ, লিটন, মাকছুদ, জয়নালসহ কয়েক জন শ্রমিক জানান, ১ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে আমাদের যেখানে নিয়ে যায়, সেখানেই কাজ করি। ধান কাটা শেষে টাকা নিয়ে বাড়ি যাই।
বাজারে বিভিন্ন জাতের প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। অথচ এক মণ ধান বিক্রি করেও হচ্ছে না একজন শ্রমিকের মজুরি। এত খরচ পুষিয়ে কাঙ্খিত মুনাফা অর্জন নিয়ে চিন্তিত তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরুল কায়েস জানান, এবার সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭টাকা করে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় একটু বেশি। তবে এলাকায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট নেই।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.