কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশ লাঠিপেটাসহ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন তাঁর সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে আসছেন—এমন খবরে গত কয়েকদিন ধরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে তাঁকে প্রতিরোধ করতে বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর সমর্থকরা লাঠি, রামদা ও বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় জমায়েত হয়।
এ সময় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা এবং পরে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ১১টার দিকে সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন পুলিশি নিরাপত্তায় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে অবস্থানরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আল আমিন হোসাইন জানান, একটি মহল মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পুলিশ তাদের এ প্রচেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পাকুন্দিয়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.