পৃথিবীটা সুন্দর থেকে আরো সুন্দর করে সাজাতে মহান স্রষ্টা মনোরম সুন্দর উদ্ভিদের যে সৃষ্টি সমাহার ঘটিয়েছেন তার মধ্যে স্বর্ণলতা উল্লেখযোগ্য প্রকৃতি শ্রী বৃদ্ধিকারী লতানো গাছ।
স্বর্নলতা উদ্ভিদের পুরো অংশই বিষাক্ত। তবে গুনের বাহারো কম নয়, হলদে-সোনালি রঙের পরজীবী উদ্ভিদ স্বর্ণলতা। গ্রামগঞ্জে এটি শূন্যলতা বা অলোকলতা নামেও পরিচিত। এই লতা নরম, সরু ও মূল-পাতাবিহীন। ছোট ও মাঝারি উচ্চতার গাছে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটা সময় বনে বাদাড়ে অনেক চোখে পড়তো এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) উপজেলার কোনা মেছেড়া, চরকাটিহারী, সাহেবের চর, বিশ্বনাথপুর, খবর নিয়ে পাওয়া যায়নি অথচ একটা সময় প্রচুর পরিমানে ছোট কিংবা মাঝারি বৃক্ষকে ভালবেসে জড়িয়ে থাকতে দেখা যেতো।
জানা যায়, এই লতার হস্টেরিয়া নামক চোষক অঙ্গ থাকে। চোষক অঙ্গের মাধ্যমে এটি পোষক উদ্ভিদ থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এটি একবর্ষজীবী লতা। আমাদের দেশে কয়েকটি প্রজাতি আছে। এ লতা অনেক শাখা লতা তৈরি করে পুরো গাছ জড়িয়ে ফেলে খুব কম সময়ে। ফুল থেকে ফল হয়। বীজ থেকে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
অনুসন্ধানে জানতে পারি, স্বর্ণলতার রয়েছে নানা ওষধি গুন। এটি বায়ুনাশক ও পেটব্যথায় কার্যকর। জন্মনিরোধ ও কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। স্বর্ণলতার নির্যাস পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় স্বর্ণলতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসায় একে রক্তদুষ্টিনাশক, পিত্ত ও কফনাশক, বিরেচক, বায়ুনাশক, কৃমিনাশক, খোসপাঁচড়া নিবারণকারী হিসাবে দেখা যায়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাড়ের চিকিৎসা, জন্ডিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, যকৃতের রোগ, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি কঠিন রোগ নিরাময়ে স্বর্ণলতার ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়। বর্তমান গবেষণায় এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে এটি অন্যতম বলে বিবেচিত হয়েছে।
মুখের ঘা সারাতেঃ মুখে ঘা হলে স্বর্ণলতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচো করলে ঘা দ্রুত ভালো হয়। ক্ষত দ্রুত ভালো হয়, ক্ষত স্থানে স্বর্ণলতা পিষে প্রলেপ দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়। (অবশ্যই আয়ুর্বেদিক রেজিস্ট্রারকৃত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য)
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.