কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেহুন্দা ইউনিয়নের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তাদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ অক্টোবর (শনিবার), সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রচারণা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: গোলাপ মিয়া (মটর সাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান সঞ্জু’র (চশমা প্রতীক) কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। এ সময় তিন প্রার্থীরই নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়।
এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান সঞ্জুকে অভিযুক্ত করে শফিকুল ইসলাম শফিক ও মো: গোলাপ মিয়া করিমগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্জু, সাংবাদিকদের মোটোফোনে জানান, আমি বিকাল ৫ টায় সাকুয়া ৮ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে গোলাপ তার লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এতে হাবুল মিয়া (৫০) নামে আমার এক কর্মী আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাপ মিয়া নিজেদের অফিস ভাংচুর করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: গোলাপ মিয়া জানান, সন্ধ্যার পর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান সঞ্জু গোপনে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করতে গেলে, তার লোকজন বাধা দেয়। এতে সঞ্জু ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে গোলাপ মিয়ার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এতে তার এক কর্মী মনির (৩৫) আহত হয়।
সংঘর্ষে আহত হাবুল মিয়া ও মো: মনির বর্তমানে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শামছুল আলম সিদ্দিকী বলেন, দেহুন্দায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকার প্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ গোলাপ মিয়া অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.