চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মরদেহের ময়নাতদন্তকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। স্বজন এবং সতীর্থরা নিহতদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারে মদের বোতল পাওয়া যায়। এতে পুলিশের ধারণা হয় আরোহীরা হয়তো মদ্যপ ছিল। যে কারণে বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকার চালালে এ দুর্ঘটনায় পতিত হন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে চাঁদপুরের শাহরাস্তির চিতোষী-চাটখিল সড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে গেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপরান তুষার (২২), শাকিল হোসেন (২৬) ও রেজাউল (২৪) এবং যশোর জেলার শার্শা থানার নয়ন (২৫) ও গাজীপুর সদরের উত্তর খাইলপুর গ্রামের সাগর হোসেন (২৪) নিহত হন। এদের মধ্যে শাহপরান তুষার, শাকিল হোসেন ও রেজাউল কুমিল্লা জেলা এবং স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় মনোহরগঞ্জের ৩ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করতে প্রশাসনের কাছে যান স্বজনরা। তবে এতে তারা ব্যর্থ হন। পরে বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে নিহতদের মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নেওয়ার পথে নিহতদের স্বজনরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ ৩ জনের মরদেহ নিয়ে থানায় চলে আসে। এ সময় পুলিশসহ অনেকে আহত হন। এই ঘটনার পর চিতোষী-হাসনাবাদ সড়ক যোগাযোগও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।