বগুড়ালকডাউনের খবরসারাদেশ

লকডাউনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ! ভাঙচুর, আহত ৫

লকডাউনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণরোধে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ধুনটের সোনাহাটা বাজার এলাকায় লকডাউন চলতে থাকে। এসময় জিনিয়াস মর্ডান মাদরাসা নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। এতে আশিকুর রহমান মানিক নামে এক ব্যবসায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদ করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা পরিচালনাকারী মহসীন আলম ও গোলাম মোস্তফার সঙ্গে আশিকুর রহমান মানিকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টিপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে সোনাহাটা বাজারের মন্ডল স্টোরের মালিক আশিকুর রহমান (৩৫), মহসীন আলম (৪২) ও গোলাম মোস্তফাসহ পাঁচজন আহত হন। হামলাকারীরা মন্ডল স্টোর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করেছে।

আহতরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।

এ বিষয়ে আশিকুর রহমান মানিক বলেন, লকডাউন অমান্য করে মাদরাসা খোলা রেখে সেখানে পাঠাদান করানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মাদরাসা পরিচালনাকারীরা আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে মহসীন আলম বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান মানিক ও তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker