কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চারশত গ্রাহকদের প্রায় বিশ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক শাখা তালাবদ্ধ রেখে উদ্যোক্তা মো: আলমগীর উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বোর্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মো: আলমগীর উপজেলার হুগলাকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে।
সরেজমিনে বুধবার (১৫ মার্চ) তথ্যানুসান্ধ্যানে জানা যায়, মো: আলমগীর উক্ত এজেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন বীর কাটিহারি গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়াকে। গত রোববার (১২ মার্চ) থেকে বোর্ড বাজারের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এ শাখাটি তালাবদ্ধ। খোঁজ মিলছে না এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ব্যবস্থাপকেরও। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকেরা।
সূত্র মতে, প্রায় এক দশক ধরে আলমগীর বোর্ড বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং করছেন। বিভিন্ন কৌশল ও প্রলোভন দেখিয়ে তিনি গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন। এক লাখ টাকার ডিপিএস জমার বিপরীতে মাসে এক হাজার টাকা সুদ দেওয়ার কথা বলে চারশত গ্রাহকদের প্রায় বিশ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রবাসীকে টার্গেট করে এ আমানত সংগ্রহ করতেন তিনি।
জিনারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার উসমান গনি বাবুল জমা রেখেছিলেন ১৮ লক্ষ টাকা, হোগলাকান্দি গ্রামের মোস্তফা ও তিন বোন মিলে রেখেছিলেন সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা, হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল মোতালিব ১৫ লাখ টাকা, একই গ্রামের আবুল কাসেম ১৪ লাখ, প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ২৭ লাখ টাকা। এভাবে আনুমানিক ৪০০ গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা জমা রেখেছেন এ এজেন্ট ব্যাংকে।
ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর এরিয়া ম্যানেজার রোকন উদ্দিন জানান, গত সোমবার থেকে বোর্ড বাজারের এজেন্টের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, বিভিন্ন গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, বিষয়টি শুনেছি। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।