কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং বিষয়টি নিশ্চিত করে। আর আজ সোমবার এ নিয়ে ঢাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে র্যাব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আশিক জানায়, আশিক ও তার সহযোগীরা ওই নারী পর্যটক ও তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী নারী তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে নারীর স্বামী-সন্তানের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে আশিক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ করে তাকে হোটেলের রুমে আটকে রেখে তার স্বামীর কাছে মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ দাবি করে।’
র্যাব আরো বলেছে, ‘আশিকের বক্তব্য অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার দেখা হয় ঘটনার আগের দিন। তার চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীর কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আশিক এর আগে পুলিশের এক সদস্যকেও ব্ল্যাকমেইল করেছিল। তার এ ধরনের অপকর্ম থেকে কেউই রেহাই পায়নি। তার এমন অপকর্মের জন্য বিভিন্ন সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে কারাভোগ করেছে। তার মামলা অনুযায়ী এর আগেও সে আরো ধর্ষণ করেছে।’
গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে এক নারী পর্যটককে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.