ফুটবল

ফিফার সপ্তম বর্ষসেরা পুরস্কার জিতে যা বললেন মেসি

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে লিওনেল মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। পরে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসির হাতে ‘ফিফা দ্য বেস্ট মেনস ফুটবলার অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এ পুরস্কার জেতার পথে তিনি পেছনে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমাকে।

গত বছরটা দুর্দান্ত কেটেছিল দুই ফরাসি তারকারও। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ২০২২ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি বছর কাটিয়েছেন বেনজেমা। জিতেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। তবে ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের হয়ে নিজের শেষ বিশ্বকাপটি রাঙানো হয়নি তার।

অন্যদিকে ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, সবখানেই চোখজুড়ানো পারফরম্যান্স ছিল এমবাপ্পের। অবশ্য দলীয় অর্জনের খাতায় পিএসজির হয়ে লিগ ট্রফি ছাড়া বেশিকিছু জেতা হয়নি এ তারকার। তবে সুযোগ ছিল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এমবাপ্পে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও, কাতারে বসা আসরটি শেষ পর্যন্ত নিজেদের করে নেন মেসি।

৩৫ বছর বয়সেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়িয়ে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দেন আলবিসেলেস্তে তারকা। ডিসেম্বরে সে স্বপ্নের ট্রফি জেতার দুমাস পার হয়ে গেলেও এখনও সে স্মৃতি তাকে আবেগী করে তোলে।

ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সে স্মৃতি রোমন্থন করে মেসি বলেন, ‘অকল্পনীয়! দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছি এবং এখানে থাকতে পারা এবং এই পুরস্কার জেতা আমার জন্য সম্মানের। সতীর্থদের ছাড়া এখানে থাকতে পারতাম না আমি। দীর্ঘদিন ধরে  যে স্বপ্নটি দেখেছি, সেটা অবশেষে পূরণ করতে পেরেছি। খুব কম মানুষেই এটা পূরণ করতে পারে এবং স্বপ্নটা পূরণ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

‘সবশেষ এই সুন্দর মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করে থাকা পরিবার এবং আর্জেন্টিনার মানুষদের ধন্যবাদ জানাতেই চাই এবং এই স্মৃতি আজীবন মনে থাকবে আমার।’

সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার জেতেন মেসি। সেই ধারাবাহিকতা তার থাকে পরবর্তী তিন বছর। দুই মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৫-তে আবারও তিনি বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন। ফিফা দ্য বেস্ট এবং ব্যালন ডি’অর আলাদা হওয়ার পর ২০১৯ সালের ষষ্ঠবারের মতো এ পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button