আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝেই হুট করে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তামিম ইকবাল। এতে দেশে তোলপাড় তৈরি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেকে পাঠান তাকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৯ ঘণ্টা পর সিদ্ধান্ত বদল করেন তামিম। দেড় মাসের ছুটি নিয়ে প্রথমে দুবাই এবং পরে লন্ডনে যান চিকিৎসা করাতে।
লন্ডনের ডাক্তাররা জানান, তামিমের চোটমুক্তি লম্বা সময়ের ব্যাপার। তখনই তার এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসায় সভায় বসেন তামিম। আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে জানা যায় এশিয়া কাপেও তিনি খেলবেন না। নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরে বিশ্বকাপে খেলতে চান তামিম।
সদ্য সাবেক হওয়া ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম আরো জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
তামিমের ভাষায়, ‘ইনজুরি একটা ইস্যু। আমি ইনজেকশন দিয়ে এসেছি (লন্ডন থেকে)। ইনজেকশনটাও কিন্তু হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার কাছে মনে হয়, দলের জন্য… সব সময়ই একটা কথা বলে এসেছি, সব কিছুর ওপরে আমি সব সময়ই দলের কথাই ভাবি। আমার মনে হয়, দলের কথা চিন্তা করে আমার সরে যাওয়াটাই হবে সবচেয়ে ভালো।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি আজকে। আমার মেসেজটা উনাকে দিয়েছি। উনিও বুঝেছেন এবং যা বলার আমাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছেন। তবে মূল ব্যাপার হলো এটি যে আমার কাছে মনে হয়েছে, দলের ভালোর জন্য আমার অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত এবং মনোযোগ দেওয়া উচিত শুধু খেলোয়াড় হিসেবে এবং যখনই সুযোগ আসবে, চেষ্টা করা উচিত নিজের সেরাটা দেওয়ার।’