নওগাঁর ধামইরহাটে ২০ জানুয়ারী ভোর রাত পৌনে ৪ টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪টি দোকান ও জাতীয় পার্টির উপজেলা অফিস ভস্মিভূত হয়েছে। ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারী সংলগ্ন সদর রাস্তার সামনে ১টি ঔষুধের দোকান দুটি কাপড় একটি তুলার দোকানে আগুন লেগে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান।
থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারী দিবাগত রাত (শুক্রবার) পৌনে ৪ টার দিকে জাতীয় পার্টি অফিসে আগুন দেখতে পেয়ে ধামইরহাট বাজার বণিক সমিতির নৈশ্য প্রহরী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশকে অবহিত করে। এমন সময় ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন অতি নিকটবর্তী পল্লী উন্নয়ন অফিসার রামানন্দ সরকার, তিনি ৯৯৯ এ ও পরে জাতীয় পার্টি অফিসে স্থাপনকৃত আগুন লাগা ঔষুধের দোকান মালিককে খবর দেন। তাৎক্ষনিক ভাবে ডাক চিৎকারে অনেক লোক আসলে ও ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার অনেক পরে পত্নীতলা হতে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। ততক্ষনে ঔষুধ, তুলা ও কাপড়ের দোকানপুড়ে ভস্মিভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ঔষুধ দোকান মালিক আবু সালেহ মুসা জানান, তার দোকানের সমস্ত ঔষুধ ও ৪টি মোবাইল ফোন, ফ্রিজ পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়,তুলা ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ৬ লাখ টাকার তুলা গদি, জমির দলিল, ও ব্যাংকের মুল্যবা নপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কাপড় ব্যবসায়ী আহম্মদ দর্জির ৭ লাখ টাকার কাপড়, অপর ব্যবসায়ী নুর ইসলাসের ৬ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে যায়। সেই সাথে জাতীয় পার্টি অফিসের সোলার প্যানেল, ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
পত্নীতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো: রাইহান জানান, জাতীয় পার্টির অফিস থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই এই অগ্নিকান্ড, ধারনা করা হচ্ছে সোনার প্যানেল ও তার হতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটেই আগুনের সূত্র ঘটেছে, জাতীয় পার্টির অফিসটি শুধু মাত্র একটি হার্ডবোর্ড দিয়ে অফিসের একাংশ ঔষুধের দোকানদারকে ভাড়া দেওয়ায় ও কোন ইটের প্রাচির না থাকায় সহজেই আগুন লাগে ঔষুধের দোকানে এবং সেই পার্টি অফিস হতে সৃস্ট অগ্নিকান্ডে কাপড় ও তুলা দোকান পুড়ে যায়। স্থানীয়রা ব্যবসায়ী নেতা ও সাধারণ জনগনকে সকাল বেলাতেও কাপড় অর্ধেক পোড়া অংশ দেখে নিশ্চিত সকলেই যে, অগ্নিকান্ড জাতীয় পার্টি অফিস থেকেই।
ঘটনাস্থল রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুল ইসলাম, ওসি মোজাম্মেল হক কাজী, সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, পৌর মেয়র আমিনুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক সরকার, বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাকিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতির পরিমান নিরুপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.