জাতীয়

সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখের ‘সেঞ্চুরি’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে এখনও তেমন অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ সোমবার। তবে র‍্যাবের পক্ষ থেকে আজও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় পেছাল ১০০ বারের মতো।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদুল আলম এই তারিখ ঠিক করেন। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, র‍্যাবের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। মেহেরুন রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

আদালতে জমা দেওয়া র‍্যাবের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে।

সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট র‍্যাব সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র‍্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার বাদী কালের কণ্ঠকে বলেন, এত দিনেও তদন্ত শেষ হলো না।

আমরা বিচার চাই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। ঘটনার চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর র‍্যাবকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‍্যাব।

এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হওয়ার দিন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত) বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর খুনের দুই দিন পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহামুদ খন্দকারও বলেছিলেন, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এখন ১১ বছরের মাথায় তদন্ত সংস্থা র‌্যাব বলছে, যত দ্রুত সম্ভব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন জামিনে আছেন। বাকি ছয়জন কারাগারে। এখন পর্যন্ত ছয় কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেছেন। এর মধ্যে র‍্যাবের চার কর্মকর্তা রয়েছেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker