হরতালে স্বাভাবিক গণপরিবহন চলাচল

সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি চলছে। আট দফা অবরোধ শেষে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে হরতাল পালন করছেন তারা। তবে হরতালের সকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। 

রাজধানীর পল্টন, শান্তিনগর, ধানমণ্ডি এবং কল্যাণপুর এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম হলেও অধিকাংশ গণপরিবহন চলাচল করছে সড়কে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে বাস, সিএনজি, রিকশা এবং ব্যক্তিগত যানবাহন। গণপরিবহন চলাচল বাড়লেও রাস্তায় তেমন বাড়েনি সাধারণ মানুষের চলাচল।

রাস্তায় চাকরিজীবীদেরই মূলত চলাচল করতে দেখা গেছে।

গণপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী গাড়ি নামানো হচ্ছে।

মতিঝিল থেকে ধানমণ্ডি হয়ে মিরপুর রুটে চলাচলকারী বাহন পরিবহনের সহকারী সাঈদ বলেন, ‘হরতালে মানুষ কম বাইর হিয়, সব অফিসের যাত্রী।

তাই মালিকরা হিসাব কইরা গাড়ি নামায়। গাড়ি পুড়াইলে ৪০-৫০ লাখ শ্যাষ।’

আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে হরতাল উপেক্ষা করেই অধিকাংশ যাত্রী সড়কে চলাচল করছেন। এমনটি জানিয়েছেন মতিঝিলে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী মারজিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো জরুরি কাজ রয়েছে।

আগামী দুই দিন বন্ধ, তাই আজ হরতাল শুনেও বের হয়েছি। বাস চলছে, কোথাও কোনো ঝামেলার খবর শুনি নি।’

হরতালে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। যদি কেও করার চেষ্টা করে তাহলে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যায়। ওই ঘটনার পরদিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি।