আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আপনাদের মতো তরুণেরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে এ কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত কৃষি মন্ত্রী ড: মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা প্রদান করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত; স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলেশন অব প্যারালাইসড (সিআরপি) এর ফাউন্ডার ও কো-অর্ডিনেটর ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: মো: ফরহাদ হোসেন।
এছাড়া সমাবর্তনে টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রকল্প পরিচালক কাম ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড: আমিনুল হক ও সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড: আলাউদ্দিন এবং মাভাবিপ্রবি’র প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড: এ আর সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড: মো: সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
৩য় সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি (ইঞ্জি:), বিএসসি (অনার্স), বিবিএ ও বিএসএস পর্যায়ে ২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ সেশন ও মাস্টার্স পর্যায়ে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ সেশনে ৪৪৩৩ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয় এবং এর মধ্যে ২২৪৩ জন শিক্ষার্থী সনদ নেন।
সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭২৮ জন। সমাবর্তনে আচার্য পদক পান ফার্মেসী বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের সাফিয়া আফরিন ও ফার্মেসী বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মো: শাকিল এবং উপাচার্য পদক পান ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মো: রাকিবুল হাসান, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শারমিন আক্তার ও ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের কহিনুর আক্তার। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.