পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় প্রাইভেট কারের তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি অংশে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় সেতুতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনা সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ৩৮ নম্বর পিলার হতে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত মাওয়া জাজিরামুখী লেনে প্লাস্টিকের বেরিয়ার দিয়ে অর্ধেক অংশ আটকে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সার্ভিসের কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেরিয়ারের পাশ দিয়ে ওই লেনে গাড়ি চলাচল করছে।
আজ বিকেলে ওই প্রাইভেটকারটি মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তের দিকে যাচ্ছিল এবং ৪২ নম্বর পিলারের কাছাকাছি আসার পর শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা থেকে খুলনাগামী একটি বাস সজোরে প্রাইভেটকারটিকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার কারণে অন্তত ৩০ মিনিট সেতুতে মাওয়া-জাজিরামুখী লেনে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়। পরে বাস ও প্রাইভেটকারটিকে সরিয়ে সেতুর পূর্ব প্রান্তের লেনের পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। এর পরে যানবাহন চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে ওই একই স্থানে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস সেতুতে থাকা প্লাস্টিকের বেরিয়ারের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে অন্তত ৪০-৫০টি প্লাস্টিকের বেরিয়ার ভেঙে যায়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ সারথী বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন সার্ভিসের কাজের জন্য সেতুর লেনের অর্ধেক অংশ প্লাস্টিকের বেরিয়ার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। আজকে দুপুরে একটি বাস বেরিয়ারের ওপর উঠিয়ে দিয়েছে। আবার বিকেলে আর একটি বাস অতিরিক্ত গতিতে চলার কারণে প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। প্রাইভেটকারে থাকা আহত তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটিকে থানায় আনা হয়েছে। আহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.