জাতীয়টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় তিন আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে টাঙ্গাইলে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফকার হওয়া রাজা মিয়া (৩২), আব্দুল আওয়াল (৩০) ও নুরনবী (২৬)।

আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আলম ও রুমি খাতুন আসামীদের এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের (উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মো: হেলাল উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত তিন আসামী টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামী রাজাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে রাজাকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণ

অপরদিকে শুক্রবার গ্রেফতারকৃত দুই আসামী নুরনবী ও আওয়ালকে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে তারা দুজনেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কখা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামী নুরনবী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামী আওয়াল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট রুমি খাতুনের আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পরে আদালতের বিচারকদ্বয় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে রাতে আসামীদের জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মুল হোতা রাজার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

উল্লেখ্য: গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশি কয়েক জন ডাকাত বাসে ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের সব লুট করে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। ডাকাতরা বাসটি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসটি মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে রাস্তার খাদে নামিয়ে দেয় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা যাত্রীদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশ আসলে যাত্রীরা ডাকাতি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানান। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া বাদী হয়ে মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker