সারাদেশের সব বিদ্যুৎ গ্রাহকরে মধ্যে সমান হারে লোডশেডিং দেয়ার কথা থাকলেও, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষকেই কয়েকগুণ বেশি লোডশেডিং পেতে হচ্ছে।
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় একবার এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও গ্রামে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে এই প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা গ্রামাঞ্চলের মানুষের।
অথচ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয় উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হবে। তাই, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ সমান হারে বিদ্যুৎ চান।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় সারাদেশে চলছে লোডশেডিং। কিন্তু গ্রাম পর্যায়ে তা অনেকটাই তীব্র। একবার বিদ্যুৎ গেলে ফিরতে সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা।
কোথাও কোথাও সারারাতেও বিদ্যুৎ ফেরেনি। ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ায় ঘাটতি বেড়েছে বিদ্যুতের। সেই দায় বড় আকারেই নিতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে।
বিদ্যুৎ সংকটের কারণে জেলা শহরগুলোতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং চলছে সবখানে। কিন্তু শহর আর গ্রামে এ নিয়ে চলছে বৈষম্য।
গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ আসে আর যায়। এতে দিনের বেলায় খুব বেশি না হলেও রাতের বেলায় ভোগান্তি চরমে উঠে।
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাদের অভিযোগ, শহরের অনেক অফিস পাড়ায় অযথা লাইট ফ্যান চলে সেখানে সাশ্রয়ী না হয়ে যত লোডশেডিং গ্রামে।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের ঘাটতি হবে। তাতে দিনে এক থেকে দুবার এক ঘণ্টার লোডশেডিং হবে।
কথা ছিলো কোন এলাকায় কতো সময় লোডশেডিং থাকবে তা আগে থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি এখনও শেষ করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো।
তবে, রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিতরণকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিপিডিসি ও ডেসকো লোডশেডিং সূচি আগেই জানিয়ে দিচ্ছে। তবে অনেক এলাকাতেই এই সূচি অনুসরণ হয়নি।
ডিপিডিসি’র পরিচালক অপারেশন আবদুর রউফ খান জানান, সূচি পুরোপুরি ঠিক করে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে কোথাও অতিরিক্ত লোডশেডিং যাতে না হয় সেটি দেখা হচ্ছে।
বিদ্যুতের এমন সংকটময় অবস্থায় গ্রামের মানুষ চান সরকার ঘোষিত লোডশেডিং হোক সবার জন্য সমান হারে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.