টাঙ্গাইলের সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ছাত্রাবাসে শিশু শিক্ষার্থী শিহাব মিয়াকে হত্যা মামলায় মঙ্গলবার আবু বক্কর (৩৫) এক শিক্ষকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক শিক্ষক। এর আগে রোববার (২৬ জুন) রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। শিহাবের মা আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (২৭ জুন) আবু বক্করকে প্রধান আসামি করে ছয় শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর আবু বক্করকে এই মামলায় গ্রেফতারে দেখানো হয়। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান সাত দিনের রিমান্ড চান। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: শামসুল আলম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ জুন শহরের বিশ্বাস বেতকা সুপারি বাগান এলাকার সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ছাত্রাবাস থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শিহাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষকরা তার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিহাব সখীপুর উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। শিহাবকে চার মাস আগে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলে ভর্তি করা হয়। সে সুপারি বাগান এলাকায় ওই স্কুলের ছাত্রাবাসে সপ্তম তলায় থাকতো।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে শিহাবের ময়না তদন্ত হয়। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম মিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল শিহাবের ময়না তদন্ত করেন। গত রোববার (২৬ জুন) টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো: সাহাবুদ্দিন খান ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠান। শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
শিহাবের লাশ উদ্ধারের পর মৃত্যুর কারণ ও হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিহাব হত্যার বিচারের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগ সমাবেশ করে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.