করোনা মহামারির মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে আরও একটি জাতীয় বাজেটের। এবারের বাজেট হতে যাচ্ছে দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। আর সবকিছু ঠিক থাকলে চতুর্থবারের মতো বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু কেমন হতে যাচ্ছে আগামী বাজেট? আসন্ন বাজেট নিয়ে দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে অংশীজনদের প্রত্যাশা ও সুপারিশমূলক বিশেষ আলোচনা ‘বাজেটে প্রত্যাশা, ২০২২-২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আরটিভি।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মো: আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বাজেট নিয়ে আজকের অনুষ্ঠানে যেসব সুপারিশ ও প্রস্তাব এসেছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নে আমাদে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। বাজেট শুধু একটা দেশের অর্থনৈতিক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। সেটি কী পলিসিতে হবে এবং কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটি খুবই গুরত্বপূর্ণ বিষয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আয়ের বিভিন্ন উৎস আছে। রাজস্ব, যেটা এনবিআর সংগ্রহ করে থাকে। সেটা আমাদের অর্থনীতির মূল সেক্টর কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাত। আবার ট্যাক্সের যে দিকগুলো রয়েছে ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স সেগুলো থেকেও আয় আসে। বিদেশ থেকেও সহযোগিতা পেয়ে থাকি।
তিনি বলেন, অনেক সময় বাজেটে একটা ঘাটতি দেখা যায়। সাধারণত আমরা এটা ৫ ভাগের নিচে রাখতে চাই। যদিও গত বছরে এটা ৫ ভাগ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। করোনার কারণে আমরা আশানুরুপ রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারেনি। এমনিতেই আমাদের রাজস্ব আয় তুলনামূলক কম, তারপরও গত বছর আমাদের প্রত্যাশা কম ছিল। তবে এখন রাজস্ব সংগ্রহ ভালোই আছে।
এ সরকার ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের কন্ট্রিভিশন জিডিপিতে বাড়াতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানটির ব্রডকাস্ট পার্টনার আরটিভি। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর আইএফআইসি ব্যাংক, কো-স্পন্সর সিটি গ্রুপ ও বিএসআরএম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান, ডিসিসিআই-এর সভাপতি রিজওয়ান রহমান, বিসিআই-এর সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিকেএমইএ-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ছাড়াও দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন ব্যবসায়ীরা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.