অবশেষে স্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে গেল ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’। রোববার (৩০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষ পত্রিকাটি বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক শামীম এ জাহেদী বলেন, স্থায়ীভাবে ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা বন্ধ করা হলো। এটা আমাদের মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত। প্রধান সম্পাদক এম শামসুর রহমান বৈঠক করে বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পত্রিকার ‘নিয়ম অনুযায়ী’ সবার বকেয়া বেতন পরিশোধ করে দেওয়া হবে। প্রায় দুই বছর ছাপা বন্ধ হলেও অনলাইন চালু ছিল। আজ যখন মিটিং ডাকল, আশা করেছিলাম হয়তো আবার ছাপা শুরু হবে। কিন্তু প্রধান সম্পাদক যখন বললেন, আজ থেকে আমরা লে অফে যাচ্ছি, তখন খুব শকড হয়েছি।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অফিস-আদালত বন্ধ করে দিয়ে তখন শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় হকারের মাধ্যমে আসা ছাপানো সংবাদপত্র রাখা বন্ধ করে দিলেন অনেকে। সে সময় ঢাকায় সংবাদপত্রের বিক্রি এক ধাক্কায় অর্ধেকে নেমে আসে। ওই পরিস্থিতিতে লোকসান এড়াতে কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। ৬ এপ্রিল সেই তালিকায় নাম লেখায় ইনডিপেনডেন্ট।
বকেয়া বেতনের পাওনা কীভাবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে পত্রিকাটির ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, আমাদের বলেছে বকেয়া পাওনা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দিয়ে দেবে। কয়েক বছর আগে আমাদের বলা হয়েছিল ওয়েজ বোর্ড থেকে বের হয়ে চুক্তিভিক্তিক বেতনে গেলে পত্রিকার জন্য ভালো হবে।
তিনি বলেন, তখন পত্রিকার স্বার্থেই আমরা রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু আগে যতদিন ওয়েজ বোর্ডে ছিলাম, সেই হিসাবটাও করা হয়নি। অনেকে হয়তো প্রতিবাদ করেনি, কিন্তু তাদেরও মনোকষ্ট আছে। এভাবে পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে, সেটা তো আমরা কেউ চাইনি।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের যাত্রা ১৯৯৫ সালে ২৬ মার্চ। দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি ইনডিপেনডেন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেড যে কটি সংবাদমাধ্যমের সূচনা করেছিল, ইনডিপেনডেন্ট তার একটি।
ওই বছরই ইনডিপেনডেন্টের পাশাপাশি শৈলী ও আনন্দভূবন নামে দুটি ম্যাগাজিন এবং বাংলা দৈনিক মুক্তকণ্ঠ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রকাশনা জগতে প্রবেশ করে বেক্সিমকো গ্রুপ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.