শাহ আলম বিল্লাল কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের নান্দানিয়া গ্রামে ১৭ এপ্রিল ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল বারেছ ও মাতা মনোয়ারা খাতুন। মা বাবার চার সন্তানের মধ্য তিনি প্রথম।
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে। হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন। স্কুলে ছাত্র থাকাকালীন ‘আর্তনাদ’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কবি প্রতিভা। স্থানীয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয় তাঁর বহু কবিতা ও ছড়া।
তিনি হোসেনপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। কিশোরগঞ্জের ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স পাশ করে। তখন প্রকাশিত হয় ‘ছড়ার গাড়ি দিচ্ছে পাড়ি’ ছড়াগ্রন্থ তিনি একজন ছড়াকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দ্বিতীয় ছড়াগ্রন্থ ‘কড়া মাইসিন ছড়া মাইসিন’ তিনি সমাজের নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতিকে তীর্যকভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ ডিগ্রী লাভ করেন। লেখালেখিতে শাহ আলম বিল্লাল খুব সুপরিচিত একটা নাম, অল্প বয়সে তিনি সর্বমহলে পরিচিত মুখ।
২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বহুদিনের সংগ্রহিত স্থানীয় ‘হোসেনপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক বই। তরুণ বয়সে তিনি খুব সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বইটি লেখার মধ্য দিয়েই। পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা ছড়ার বই ‘মুজিব তুমি হৃদয় ভূমি’ বইটি পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তখনকার নির্বাহী অফিসার জনাব কমল কুমার ঘোষ বইটি পাঠেমুগ্ধ হয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইটি বিতরণের অনুমোতি প্রদান করেন।
২০২০ সালে অমর ২১শে বই মেলায় প্রকাশিত হয় চতুর্থ ছড়াগ্রন্থ ‘বঙ্গধন্যা মুজিব কন্যা’ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখা বইটি প্রত্যেকটি ছড়াই পাঠক জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে চলছে। তিনি নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন বারিক-মনোয়ারা পাঠাগার ‘গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন। হেসেনপুর সাহিত্য সংসদ, কিশোরগঞ্জ ভোরের সূর্য সাহিত্য পরিষদ, দপ্তর সম্পাদক কিশোরগঞ্জ ছড়াকার সংসদ।
শাহ আলম বিল্লাল পেয়েছেন স্থানীয় বহু পুরস্কার, সম্মাননা এবং সনদ। তিনি বাংলা সাহিত্যের জন্য লিখে যেতে চান নিরন্তর।
সাংবাদিক এস এম রিফাত বলেন, কবি বিল্লাল তার দক্ষ মেধার পাশাপাশি তিনি একজন সুক্ষ্ম সুন্দর চরিত্রের মানুষ। সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি পেলে তিনি হতে পারেন বাংলা সাহিত্যের বলিষ্ঠ কলমদার।