ভ্যাপসা তাপদাহে ক্লান্ত মানুষ তালের শাঁসে প্রশান্তি খুঁজছেন। নারী -পুরুষ ও শিশুরা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে তালের শাঁস খাচ্ছেন। তবে এ বছর প্রচণ্ড তাপদাহে তালের শাঁসের কদর গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জ থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করছে। মানুষ অহরহ ফরমালিন মুক্ত এ ফল খাচ্ছেন।
জানা গেছে, তালে রয়েছে প্রচণ্ড ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক পটাশিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরি ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালমিয়ান ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম ও ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবারে তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। এরপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের। প্রচণ্ড তাপদাহে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। মানুষ শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন। দাম কিছুটা বেশি হলেও সে দিকে তাকাচ্ছেন না ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষগুলো। শহরের বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষের কাছে তালের শাঁসের কদর বেশি। তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ৮টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা মুল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাছন্দে কিনে নিচ্ছেন।
হোসেনপুর বাজারে এলএসডি গোডাউনের সামনে তাল শাঁস বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাম থেকে তাল ক্রয় করে ভ্যানে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে ৮ থেকে ১০ টাকা। বিক্রি করি ১৫ থেকে ২০ টাকা। গত ১৫ দিন ধরে বিক্রি করছি। এতে দৈনিক ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। আয় যেমন কষ্টও তেমন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তানভীর হাসান জিকু বলেন, তালের শাঁসের অনেক উপকারীতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে। তালের শাঁস একটি আশযুক্ত খাবার। এ শাঁস খেলে কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে। পরিস্কার পরিছন্নভাবে না খেলে আবার ডায়েরিয়ারও ঝুঁকি থাকে।