

ইসরায়েলি শহর তেল আবিবে মঙ্গলবার এক হামলায় সাতজন আহত হয়েছে বলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গাড়ি দিয়ে ধাক্কা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি বড় অভিযানের দ্বিতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটল।
পুলিশ বলেছে, তারা উত্তর তেল আবিবে ‘একটি গাড়ি বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে আক্রমণ করেছে’ এবং ‘সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে’—এমন ঘটনার খবর পেয়েছে।
ঘটনাস্থলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ প্রধান ইয়াকভ শাবতাই বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। একজন সশস্ত্র পথচারী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
চিকিৎসকরা জানান, আহত পাঁচজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, মোট আহতের সংখ্যা সাতজন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের বিদ্রোহী ঘাঁটিতে কয়েক বছরের সবচেয়ে বড় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ঘটনাটি ঘটল। সামরিক অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, ১০০ জনেরও বেশি হেফাজতে রয়েছে এবং হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েল-অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস গোষ্ঠী একটি বিবৃতি জারি করে ‘বীরত্বপূর্ণ’ হামলার প্রশংসা করেছে।
তারা এ হামলাকে ‘জেনিন শিবিরে জনগণের বিরুদ্ধে (ইসরায়েলের) অপরাধের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া’ বলে অভিহিত করেছে।
উভয় পক্ষের সরকারি সূত্র থেকে সংকলিত এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর অন্তত ১৮৮ ফিলিস্তিনি, ২৫ ইসরায়েলি, একজন ইউক্রেনীয় এবং একজন ইতালীয় নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে যোদ্ধা ও বেসামরিক ব্যক্তি এবং ইসরায়েলের পক্ষে বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক ও আরব সংখ্যালঘুর তিন সদস্য রয়েছে।