আন্তর্জাতিক

ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হারার পর কী হবে?

পাকিস্তান পার্লামেন্টে এখন অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া চলছে। রোববার এ অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ অনাস্থা ভোটের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া। ইমরানের নিজের দল পিটিআইয়ের কিছু সদস্য ও জোটসঙ্গী এমকিউএমপি তার পক্ষত্যাগ করায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন তিনি। ৩৪২ সদস্যের পাকিস্তান পার্লামেন্টে ইমরানের দল পিটিআইয়ের সমর্থক এখন ১৪২ জন আর বিরোধী দলগুলোর সমর্থক সংখ্যা হলো ১৯৯ জন। যদিও পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করতে এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে ফেলতে পার্লামেন্টে ১৭২ জন সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত জোটই যথেষ্ট। এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দায়ে ইমরান খানকে সরিয়ে দেয়া হলে তার পরের অবস্থা কেমন হবে। কিভাবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করা হবে তাই আজকের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

প্রস্তাব দেয়া হবে পার্লামেন্টে:

পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিয়ম ও নীতি অনুসারে যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ খালি হয়, তখন একজন নতুন মুসলিম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। কোনো বিতর্ক বা অন্য কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই এ নতুন মুসলিম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। পার্লামেন্টের সদস্য কোনো প্রার্থীর নাম দু’বারের বেশি উল্লেখ করা যাবে না।

যখন কোনো প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন ওই প্রার্থীর নাম দুপুর ২টার মধ্যে পাকিস্তান পার্লামেন্টের সেক্রেটারির কাছে পাঠানো হয়। এরপর ওই প্রার্থীর নাম পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় উল্লেখ করা হবে।

সুবিবেচনা ও গভীর তদন্ত:

পাকিস্তান পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো বিষয়ে সুবিবেচনা ও গভীর তদন্ত করা হয়।

১. কোনো প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী যদি পার্লামেন্টের সদস্য না হন।
২. পাকিস্তান পার্লামেন্ট বিষয়ক আইনের ৩২ ধারা অনুসারে ওই প্রার্থীর যদি যোগ্যতা না থাকে।
৩. প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নাম কে প্রস্তাব করল এবং ওই প্রার্থী আসলেই প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা।

এ সকল বিষয়ে তদন্তের পর ওই প্রার্থীর নাম একটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী তার নাম প্রত্যাহার করতে পারেন

পার্লামেন্টে নির্বাচনের আগে যেকোনো প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী তার নাম প্রত্যাহার করতে পারেন।

পার্লামেন্টে নির্বাচন

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিন পাকিস্তান পার্লামেন্টে স্পিকার প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করবেন। এরপর পার্লামেন্টে ভোট হবে। যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। যদি কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, তবে এ প্রক্রিয়াটি পুনরায় চালু করা হবে।

যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন

যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন তখন পার্লামেন্টের স্পিকার ওই নাম দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন। এরপর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট বিষয়ক সচিবের স্বাক্ষরের পর নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

পদ হারানো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কী করবেন?

পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে পদ হারানো প্রধানমন্ত্রী ওই দিন পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করবেন যতক্ষণ না নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker